মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৫

পতিতাবৃত্তি উচ্ছেদের জন্য প্রয়োজন পতিতাদের পুনর্বাসন। (অশান্ত ছেলেবেলা)



ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে একদিন সকাল ১০টার দিকে এক তৃষ্ণার্ত নারী পানি চেয়েছেন ওখানকার চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর কাছে। ঐ কর্মচারী পানি তো দেয়নি বরং লাঠি হাতে তাড়া করেছ ঐ নারীকে।

 উর্ধশ্বাসে দৌড়াতে গিয়ে অনেক কষ্টের রোজগারের টাকায় কেনা পায়ের জুতাজোড়া ফেলে আসে ঐ নারী। লোকটির লাঠির ঘা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারার আনন্দে নারী ভুলে যায় তার তৃষ্ণার কথা। 

ভুলে যায় সাধের জুতা জোড়ার কথা। অনেকদিন সকাল বেলা ভূতেরগলি কোন এক বাড়িতে পানি খেতে চায় আরেক তৃষ্ণার্ত নারী। গৃহকর্মী ঝাড়– হাতে দৌড়ে আসে ঐ তৃষ্ণার্তের দিকে। বলে হারামজাদী, খানকি, ঝাড় খা। কষ্টে তৃষ্ণার্তের গলা ভারি হয়ে আসে। বেঁচে থাকাটা কঠিনতর মনে হতে থাকে তার।

দু’জন তৃষ্ণার্ত নারীর এই কাহিনীগুলো কোন সিনেমার গল্প নয়। জীবননাট্যের কোন অঙ্কের এক বাস্তব দৃশ্য। এই দুই তৃষ্ণার্ত নারী পানি খেতে পায়নি কারণ তাদের অপরাধ হলো তারা পতিতা। পেটের দায়ে বেছে নিয়েছে এই পথ। পুরুষতান্ত্রিক এই সমাজে জীবনের মৌলিক একটি চাহিদা যৌনতার ব্যবসা করে তারা। বেঁচে থাকার তাগিদে কিছু টাকার বিনিময়ে নিজের মনের বিরূদ্ধে এই কাজ তারা করে। 
জীবনের ন্যূনতম মানবিকতা বর্জিত এই দুই নারীর জীবনের টানাপোড়ার কাহিনী তাদের মুখেই শোনা যাক। 

স্বপ্না: (প্রকৃত নাম না) আমার বয়স ২৫। বছর দশেক আগে আমার বাবা-মা বিয়ে দেন আমাকে। দু’টি সন্তান যখন আমার কোল উজ্জ্বল করে তখন আমার স্বামী আরেকটি বিয়ে করে। 

আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে যখন আমার স্বামী আমাকে ছেড়ে চলে যায় তার নতুন স্ত্রীর কাছে। আমার দু’টি সন্তানের প্রিয়মুখ আমাকে দিন দিন পাগল করে তোলে। রোজগারের জন্য কাজ খুঁজতে থাকি। ৩০০ টাকা বেতনে কাজ খুঁজে পাই একটি গার্মেন্টসে। ৩ মানুষের মৌলিক চাহিদার সঙ্গে ৩০০ টাকাকে অস্ত্র করে লড়াই করতে থাকি। 

সন্তানরা বড় হতে থাকায় আমার জীবনটা আরও কঠিন মনে হতে থাকে। শেষে অনেক কষ্টে একটি চুড়ির কারখানায় কাজ নেই ৯০০ টাকা বেতনের। টাকায় সংসার চালাতে গিয়ে হোঁচট খেতে থাকি।

                          একসময় এক মহিলার সাথে আমার পরিচয় ঘটে। তখনও আমি জানতাম না যে ঐ মেয়েটি একটি পতিতা। মেয়েটি একদিন আমাকে ভুলিয়ে ভালিয়ে নিয়ে যায় এক লোকের কাছে। লোকটি আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে আমার হাতে গুঁছে দেয় কিছু টাকা। এভাবে আমার পতিতা বৃত্তির সাথে পরিচয় ঘটে। আমি অপবিত্র হয়ে যাই, আমার জীবন পাল্টে যায়। 

আমাকে সবাই দূর দূর করে তাড়িয়ে দেয়। পেটের দায়ে এবং সন্তানদের দিকে চেয়ে আমি ঢুকে যাই এই পতিতা পেশায়। আমাকে এখন সমাজে সবাই ঘৃণা করে। রাতের অন্ধকারে যারা আমার কাছে আসে দিনের বেলায় সে আমাকে চেনে না, চিনতে চায় না। আমার জীবনটা প্রচন্ড কষ্টে ভরে আছে। এই জীবন থেকে আমি মুক্তি চাই। সমাজের কোন সম্মানজনক কাজ পেলে আমি এই বঞ্চিত জীবন থেকে দূরে সরে যাব।


বন্যা: (আসল নাম নয়) আমার এখন বয়স ৩০। ১৬ বছর বয়সে আমি এক বাসায় কাজ করতাম। বাসার মালিকের ছেলের সাথে একসময় আমার প্রেম হয় এবং বিয়েও করি। কিন্তু এই বিয়ের সুখ বেশিদিন কপালে সয়না আমার। শ্বশুর-শাশুড়ি আমার উপর অত্যাচার করতে থাকে। 

অত্যাচারের চোটে আমি ঘর থেকে বেরিয়ে যাই এবং শান্তিবাগে একবাসায় কাজ নিই। একদিন আমি রিক্সা করে বাজারে যাচ্ছিলাম, হঠাৎ আমার রিক্সায় একটি লোক উঠে পড়ে। ভয় দেখিয়ে আমাকে সে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নিয়ে যায়। উদ্যানে নিয়ে সে আমাকে টানাহেচঁড়া করতে থাকে। এসময় ৩ জন লোক আমাকে উদ্ধারের নাম করে অন্যত্র নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। 

অন্ধকার হয়ে যায় আমার পৃথিবী। কিসের জন্য আজানা ভয়ে আমি আর বাসায় ফিরি যাই না। পার্কের এক কোনায় বসে আমি হাউমাউ করে কাঁদতে থাকি। 

সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি ছেলে আমাকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনে নিয়ে যায়। তারা দারোয়ানের কাছে আমাকে রেখে আমার জন্য খাবার আনতে গেলে ঐ দারোয়ান আমাকে ধর্ষণ করে। আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। জ্ঞান ফিরলে আমি ভোর রাতের দিকে রাস্তায় নেমে হাঁটতে থাকি। 

সেখান থেকে কিছু পতিতা আমাকে উদ্ধার করে তাদের বাসায় নিয়ে যায়। তখন থেকে আমার সুখ-দুঃখের অনুভূতিগুলো নষ্ট হয়ে যেতে থাকে। আমি নাম লিখাই পতিতার খাতায়।


আজকের ফিচারে স্বপ্না ও সালমাকে আমাদের দেশের ভাসমান পতিতাদের প্রতিনিধি হিসেবে নিয়ে তাদের কিছু জীবনচিত্র তুলে ধরব। আমাদের সমাজে দু’ধরনের পতিতা রয়েছে ভাসমান ও প্রাতিষ্ঠানিক পতিতা। 

প্রাতিষ্ঠানিক পতিতারা রেজিষ্ট্রিকৃত বা অনুমোদিত কোন পতিতালয় থেকে দেহ ব্যবসা করে। আর ভাসমানরা রাস্তাঘাটে, পার্কে বা কোন বাড়িতে থেকে তাদের পেশা চালিয়ে যায়। স্বপ্না ও সালমার সাথে কথা বলে জানা গেল জীবনে কত অনিশ্চয়তা পতিতারই এই জীবনে আসার পিছনে কোন না কোন ঘটনা আছে। এই জীবনে তাদেরকে ভোগ করে সমাজপতিরা, পুলিশ, ছাত্র, নাইটগার্ড, রিক্সাওয়ালা, বাস ড্রাইভার ইত্যাকার বিভিন্ন পেশার পুরুষ।

 আবার মধ্যবয়সী, যুবক, তরুণ এবং এমনকি কিশোর বয়সের ছেলেরা পর্যন্ত আসে এসব পতিতার কাছে। এসব ভাসমান পতিতা তাদের জীবনের সর্বোচ্চ মানসিক কষ্টকে সহ্য করে দেহব্যবসা চালায় কিন্তু এখানেও বঞ্চিত হয় তারা। দালালদের বখরা, পুলিশের উৎপাত, মস্তান ও সন্ত্রাীদের উটকো ঝামেলা, চাঁদবাজি, ভোগ করে টাকা না দিয়ে চলে যাওয়া ইত্যাকার ঝামেলায় তাদের প্রতিনিয়ত পড়তে হয়। চোর ও মদখোরদের উৎপাতেও তাদের মাঝে মাঝে সর্বশান্ত হতে হয়।

পতিতাবৃত্তি এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার এক অসম বন্টনের ফসল। নারীর প্রতি পুরুষের এবং পুরুষতান্ত্রিক মানুষের অসম দৃষ্টিভঙ্গিও এক সুদুরপ্রসারী ফসল হলো এই পতিতাবৃত্তি। এই পতিতাবৃত্তি নারীেেক করেছে পণ্য ও ভোগ্যবস্তু, সমাজের হাজারো লাঞ্ছনা ও গঞ্জনার শিকার যে নারী। যে নারী সমাজের শিকার হয়েও পতিতা বলে চিহ্নিত তারা বেশিরভাগই এই অবস্থা থেকে মুক্তি চায়। 

স্বাভাবিক জীবনের স্বপ্ন দেখে। কেউ কেউ সমাজ থেকে এত কষ্ট পেয়েছে যে , তাদের জেদ চেপে বসেছে এই পেশা থেকে তারা আর কোথাও যাবে না। এই পেশায় থেকে যেসব পতিতা সন্তানের জন্ম নিয়েছে তাদের নিয়েও সমাজে হাজারো বিড়ম্বনা। স্বপ্নার এই পেশায় এসে একটি সন্তানের জন্ম হয়। এই সন্তানটি অবৈধ বলে স্বপ্না তাকে কত ভালবাসে। 

এই সন্তানটিকে যখন মানুষ স্বাভাবিক দৃষ্টিতে দেখে না তখন স্বপ্নার কষ্টের আর অন্ত থাকে না। স্বপ্নারা জানে না কে তাদের সন্তানের বাবা? কিন্তু রাতের আঁধারে যারা তাদের কাছে আসে, আবার দিনের আলোয় তারাই ওদের পতিতা বলে গালি দিয়ে বুক ফুলিয়ে হাঁটে। ভাসমান পতিতাদের নিয়ে মাঝে মাঝে কিছু বেসরকারী সংস্থা সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিভিন্ন কাজ করে বটে, তবে সেটি ওদের জন্য তেমন কোন উন্নয়ন বয়ে নিয়ে পারেনি। 

কেয়ার বাংলাদেশ-এর শক্তি প্রকল্প নামে প্রজেকেক্টটি ভাসমান পতিতাদের নিয়ে কিন্তু কাজ করেছে। সেখানে আড়াই বছর ধরে কাজ করছে স্বপ্না ও সালমা। পরীক্ষার মাধ্যমে সংস্থাটি সার্ভেয়ার হিসাবে কিছু পতিতাকে দৈনিক ৮০ টাকা হিসেবে নিয়োগ দেয়। পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণদের তারা দেয় দিনে ৫০ টাকা। এদের কাজ ঢাকা শহরের ভাসমান পতিতাদের ওপর কিছু জরিপ করা ও তাদেরকে সংস্থার অন্তর্ভূক্ত করা। এই কাজে দিনে ৫০ টাকা বা ৮০ টাকা পোষায় না বলে জানায় স্বপ্না ও সালমা। কিন্তু কোন মানুষ পতিতার কাছে ছুটে যায় কিসের সন্ধানে?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়োর মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ড. নাসরীন ওয়াদুদ সমাজের পতিতাবৃত্তি ও পতিতালয়ে গমনের কারণ হিসেবে স্বাভাবিক যৌনচাহিদা অবদমনকে প্রথমত দায়ী করেছেন। তিনি বলেন প্রত্যেকটি মানুষের যৌনচাহিদা থাকে। কিন্তু পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা একটি মেয়ে যতটা তার যৌনচাহিদাকে চেপে রাখে, একটি ছেলে ততটা চেপে রাখে না বা চেপে রাখার জন্য অতটা সামাজিক চাপ বোধ করে না। 

এভাবে ছেলেটি সুযোগ থাকার কারণে পতিতালয়ে যায় যেটা আমাদের সমাজে এখন কোন ব্যয়বহু ব্যাপারও নয়। নাসরীন আরও বলেন, একটা ছেলে তার ইচ্ছামতো যখন তখন বাইরে বেরুতে পারে, যার জন্য বাবা-মার কাছে সব সময় তাকে জবাবদিহি করতে হয় না। এই স্বাধীনতার সাথে যদি যোগ হয় অসৎ বন্ধুসঙ্গ তাহলে ছেলেটি অনেক ধরনের নিষিদ্ধ কাজের সাথে নিজেকে জড়িয়ে ফেলে। এভাবে পুরুষতান্ত্রিক স্বাধীনতা একটি ছেলেকে নিষিদ্ধ কাজের সাথে যুক্ত করে। এই সমাজব্যবস্থা এভাবে পুরুষদের পতিতাগামী করে।

বিল্পবী ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক এবং গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সভানেত্রী মোশরেফা মিশুর কাছে আপরাজিতা থেকে প্রশ্ন রাখা হয়, সমাজের পতিতাবৃত্তি উচ্ছেদের জন্য তিনি কিছু ভাবছেন কিনা। মোশরেফা মিশু জানালেন, “আমরা মানুষের মুক্তি ও অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনীতি করি। পতিতারা এই সমাজের অবহেলিতদেরও অবহেলিত। 

সমাজব্যবস্থার শিকার এই নারীরা যতদিন পতিতা বলে বিবেচিত থাকবে, ততদিন নারী পণ্যের গন্ডি থেকে বেরুতে পারবে না। আমাদের গার্মেন্টস শ্রমিকক ঐক্য ফোরামের শ্রমিকদের দাবি নিয়ে আন্দোলন করে। উপযুক্ত সংগঠক ও কর্মী তৈরি হলে আমরা অচিরেই পতিতাবৃত্তি থেকে নারীদের উদ্ধারের জন্য কাজ করব।

আমাদের সমাজে পতিতারা সামাজিক অব্যবস্থার প্রতীক। তারা একবার অত্যাচারিত হয় দরিদ্র বলে, আবার হয় নারী বলে, আবার আরেকবার হয় বেশ্যা বলে। বিভিন্ন সময়ে এই অবস্থার উন্নতিকল্পে পতিতালয় উঠিয়ে দেয়া হয়েছে। 

বিভিন্ন সামাজিক অলিখিত আইন করে তাদের পিটিয়ে দূর করা হয়েছে, কিন্তু তাতে লাভ হয়নি কিছু। কারণ যৌনতা নিয়ে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি ও পুরুষশাসিত সমাজব্যবস্থা। একই কাজ করার ফলে নারী ‘পতিতা হলেও নর ‘পতিত হয় না। পতিতাদের পুনর্বাসন ও মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন সমাজের অগ্রগতির জন্য অতীব জরুরী।

নিষিদ্ধ পল্লীর স্থায়ী বাসিন্দাদের চেয়েও অসহায় শহরের ভাসমান অসংখ্য পতিতা। ঝড়বৃষ্টি বাদলেও এদের মাথার ওপরে খোলা আকাশ ছাড়া নেই কোন আশ্রয়। ক্ষুধা- পিপাসায় কাতর, রোদে বৃষ্টিতে বিধ্বস্ত ক্লান্ত জীবনটাকে টেনে নিয়ে যেতে হয় তাদের আমৃত্যু। 

নদী ভাঙ্গনের বলি আর বানভাসী যাত্রায় এক টুকরো আশ্রয়ের সন্ধানে মানুষ পাড়ি জমায় শহরে। গৃহস্থ আঙ্গিনার কন্যা, জায়া, জননী শহরের পাথুরে সড়কের বুকে হয়ে দাঁড়ায় পতিতা। গৃহ থেকে বিতাড়িত কিংবা গৃহকত্রীর অত্যাচারে পলাতক গ্রাম থেকে আসা গ্রামের গৃহপরিচারিকারা তাদের সময় টাকার অভাব কিংবা অন্য কোন কারণে ফিরে যেতে পারে না নিজস্ব ঠিকানায়। দু’এক রাতের জন্য আশ্রয় খুঁজতে গিয়ে দুর্বৃত্তের কবলে পড়ে তারা হয়ে যায় আঁধার জগতের স্থায়ী বাসিন্দা। 

কখনও ক্ষুধার্ত শিশুর মুখে অন্ন তুলে দিতে গিয়ে স্বেচ্ছায় এ পথে পা বাড়ায় কোন তরুণী মা। ফুটপাথে বেড়ে ওঠা শিশুরাও অধিকাংশ সময় পতিতার পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়। কোন স্থায়ী আবাস না থাকায় এদের দেখা যায় যত্রতত্র। পার্ক, সিনেমা হল, সদর রাস্তা, আঁধার গলি, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সর্বত্র এদের অবাধ বিচরণ। 

শহরের কিশোর তরুণ যারা নিষিদ্ধ পল্লীতে যাওয়ার সাহস সঞ্চয় করে উঠতে পারত না কখনও, তারাও নিষিদ্ধ কৌতুহলের তাড়ানায় এদের সংস্পর্শে আসছে। ক্রমশ ভেঙ্গে যাচ্ছে সমাজের নৈতিক অবকাঠামো। ঢাকা শহরে কোথায় এরা নেই? কমলাপুর, সদরঘাট, ক্রিসেন্ট লেক, রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, দোয়েল চত্বর, গুলশান পার্ক থেকে শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসেও এদের দেখা যায়। এদের রোজগারে ভাগ বসায় পুলিশ, স্থানীয় মস্তান, দলের সর্দারণী, কে নয়?-বড় অসম্পূর্ণ তাদের চিন্তা। কান্দুপট্টি থেকে পতিতাদের উচ্ছেদের পর পতিতাবৃত্তি থেকে অসহায় বাসিন্দাদের মুক্তি ঘটেনি। 

তারা আশ্রয়হীন হয়ে ছড়িয়ে পড়েছি সারা শহরে। পতিতাবৃত্তি উচ্ছেদের জন্য প্রয়োজন পতিতাদের পুনর্বাসন। সম্মানজনক পেশায় তাদের নিয়োজিত করে সামাজিক মর্যাদা ফিরিয়ে দেয়া অত্যন্ত জরুরী। ভাসমান পতিতাদের চাই আশ্রয়, কাজ, সম্মান।
লেখাঃ আবু রুবাইয়া।
সাহায্যেঃ ইন্টারনেট।
প্রকাশ্যেঃ অশান্ত ছেলেবেলা। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Thanks for comments