রবিবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০১৬

নির্বোধ হে তুমি নারী, এক অবুঝ ললনা মাত্র।

নির্বোধ হে তুমি নারী, এক অবুঝ ললনা মাত্র।
O you foolish woman, just a foolish woman. 

একদিন, গোধূলির আলো ছায়ায় কালো কমলা রঙের খেলায়, মানব বলেছিল–হে মানবী! তুমি নির্বোধ ললনা মাত্র, আমার জন্য কান্নার নীর ঝরাও, ব্যাকুলতায় হৃদয় করো টলমল, নির্বোধ হে তুমি নারী! এক অবুঝ ললনা মাত্র!

অহংকার ঝরে ঝরে পড়ে গণ্ডদেশ বেয়ে, মানবের চোখে মুখে আজ সূর্যের তেজ। অথচ আমি মানব, এক ভিন গ্রহবাসি স্বার্থপর। অবোধ বনিতা, আজো আমায় চিনতে পারনি? ভিন গ্রহবাসির মতোই দুর্বোধ্য তোমার কাছে, কখনো এই আমি ই তোমার শরীরের পেলব রেখায় ওষ্ঠ ছোঁয়াই! তোমারই বুকে উষ্ণতা ছড়িয়ে, তোমাতে মিশেই হয়ে যাই, এক অভিন্ন স্বত্বা।

আবার প্রয়োজনে, এই তোমাকেই আস্তাকুড়ে ছুড়ে ফেলতে জানি, এই তোমাকে ভুলেই মগ্ন হতে পারি, বিলীন হতে পারি আমার পৃথিবীতে, অথচ মানবী তুমি! পারো কি আমায় ভুলতে? পারো কি আমার শত অবহেলার পরেও, নিজেকে সমর্পণ না করে থাকতে?

তোমার নিজস্ব কোন স্বত্বা নেই তুমি আমাতেই আছো মিশে, আমাতেই তোমার রঙধনুর রঙ খুঁজে ফেরে তার দিশে। তবে মানবী, মেনে নাও এই নিয়তি, এই নিয়ম, মেনে নাও অবহেলা মানবের উপহার ভেবে। জীবন করো হে ধন্য পুজার ফুল দিয়ে কেবলি মানবের পদতলে।
লেখাঃ আবু রুবাইয়া।
সাহায্যেঃ অশান্ত ছেলেবেলা।
প্রকাশ্যেঃ ইন্টারনেট।
ভালবাসা হয় যদি অপরাধ, তবে দু'জনে সম অপরাধী। 

শনিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০১৬

মানব ও মানবী-Man and woman


পুরুষের কি আবেগ নেই? কিংবা নারী কি শরীরের আনন্দ উপভোগ করে না? তাহলে সব দোষ পুরুষদের উপর এসে পড়ে কেন ?

পৃথিবীর বেশিরভাগ মেয়ের ধারণা ছেলেরা শুধু শরীর খোঁজে, শরীরের আনন্দ খোঁজে। পুরুষের সব আবেগ শরীর থেকে শুরু হয়ে শরীরেই শেষ হয়ে যায়। দিন শেষে গড়ে সব পুরুষের গায়ে “শরীর সর্বস্ব” লেবেল এঁটে যায়। কিন্তু আসলে কি পুরুষ শুধু শরীর খোঁজে? কিংবা নারী কি শরীরের আনন্দ উপভোগ করে না? পৃথিবীতে এক শ্রেণীর মানুষই আছে এমন, যারা কেবল শরীর টাকা আর জাগতিক বস্তু চেনে। তাঁদের মাঝে পুরুষ যেমন আছে, নারীও আছে।

এদের সাথে সবাইকে মিলিয়ে ফেললে হবে না। এরা তো মানুষ না____। কিন্তূ ব্যক্তিগত ভাবে আমার মনে হয় একজন পুরুষকে আপন করে নেয়া আসলে খুব সোজা। আমাদের সমাজে ছোটবেলা থেকে নিজের আবেগ গোপন করতেই শেখানো হয় পুরুষদেরকে। অনুভব গুলো চেপে রাখতে রাখতে তারা যেন কেমন কেমন হয়ে যায়। 

অথচ আমি নিজেই দেখেছি সহস্র চুমুর চাইতেও পুরুষেরা বেশি গুরুত্ব দেয় কেউ আদর করে পাশে বসিয়ে খাওয়াক, এটা ওটা পাতে তুলে দিক। অতি সুন্দরী এক নারীর সাথে রাত্রি যাপনের চাইতেও সেই মেয়েটি তাঁদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ, দিন শেষে যার কোলে মাথা রাখা যায়। অতি সাহসী পুরুষেরাও চায় খুব কষ্টের দিন গুলোতে কেউ একজন পরম মমতায় বুকে টেনে নিক, মাথায় হাত বুলিয়ে দিক। আদর করে বলুক- সব ঠিক হয়ে যাবে, সব ঠিক হয়েযাবে____। 

একজন নারী যেভাবে তাঁর পুরুষটিকে সমস্ত শক্তির উৎস হিসাবে চায়, একজন পুরুষও কিন্তূ তাই। সেও চায় একান্ত নারীটি তাঁকে বুঝুক, জানুক, তাঁকে অনুপ্রেরণা দিক। অন্যদের কথা জানি না, কিন্তূ আমি নিজের জীবনে এমন পুরুষদেরকেই দেখেছি। বাবা, ভাই, বন্ধু, আরও না জানি কত রূপে। দেখেছি তারা ভালোবাসার বড় কাঙাল!

একটু ভালোবাসা, একটু মমতা, একটু আদর দিয়ে তাঁদেরকে কিনে নেয়া যায় আজীবনের জন্য! অদ্ভুত বিষয়টা হচ্ছে, যে যাই বলুক না কেন, যতই লিঙ্গগত ঝগড়াঝাটি থাকুক না কেন, আমার কখনও মনে হয়নি নারী-পুরুষ পরস্পরের শত্রু। তারা পরস্পরের পরিপূরক, একেঅন্যকে ছাড়া অপূর্ণ।

তবে কখনো পুরুষ এই সত্য অস্বীকার করে, কখনো বা নারী। অথচ তারা পরস্পরের পরিপূরক। অথচ তারা পরস্পরকে ছাড়া অপূর্ণ। খাপে খাপে মেলানো প্রকৃতির অদ্ভুত সুন্দর সৃষ্টি মানব ও মানবী। 

লেখাঃ আবু রুবাইয়া।
সাহায্যেঃ অশান্ত ছেলেবেলা।
প্রকাশ্যেঃ বাংলাদেশ সাইবার এস্পেস।
জীবন মানেই তো যন্ত্রণা, বেঁচে থাকতে বোধহয় শেষ হবে না। 

শনিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০১৬

এসো দেশবাসী, অসহায় শীতার্ত দের পাশে দাড়াই। এগিয়ে দেই সাহায্যের হাত, হয়ত আপনার একটি শীত বস্ত্র বাঁচাতে পারে একটি জীবন।


গত কিছু দিন যাবত পুরো দেশ ব্যাপি প্রচন্ড শীত পড়ছে। বরাবরের মত এবারো শীতে দারিদ্র দের বেশ কষ্ঠ ভোগ করতে হচ্ছে! অনেক অভাবগ্রস্থ মানুষই হয়ত প্রয়োজনীয় শীত বস্ত্র কিনতে পারবে না! 

শীতের তীব্রতায় প্রতিবারের মত এবারো হারিয়ে যাবে কিছু দুস্থ প্রান। আর কাঁদবে অসহায় শীতার্ত মানুষ । শীতে ধনবান দের জন্য শীত নিবারনের জন্য সুন্দর ব্যাবস্থা থাকলেও বিপর্যয়ে পড়ে অসহায় দরিদ্র মানুষ । তীব্র শীতের কারনে শীতকালীন অসুখঃ- জ্বর, স্বর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া সহ বিভিন্ন রোগে ভুগতে হয় এই অসহায় মানুষদের। 

যাদের অধিকাংশই অর্থের অভাবে চিকিৎসা সেবা নিতে পারে না। সবচেয়ে কষ্টের সম্মুখীন হয় দরিদ্র শিশু, প্রতিবন্দীও বয়স্করা। তাই আমাদের সাধ্যমত এই অসহায় দরিদ্র শীতার্ত মানুষের পার্শ্বে দাড়াই। হয়ত কিছু মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারবো, বাঁচাতে পারে কিছু অবহেলিত অমূল্য প্রান। আল্লাহ্ আমাদের সহায় হোন।
লেখাঃ আবু রুবাইয়া।
সাহায্যেঃ অশান্ত ছেলেবেলা।
প্রকাশ্যেঃ বাংলাদেশ সাইবার স্পেস।
মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য। 

যদি তোর ডাকশুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলরে।

 
যদি তোর ডাকশুনে কেউ না আসে। 
ররবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 

যদি তোর ডাকশুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলরে। যদি তোর ডাকশুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলরে। একলা চলো, একলা চলো, একলা চলো একলা চলরে। যদি তোর ডাকশুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলরে। যদি তোর ডাকশুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলরে।

যদি কেউ কথা না কই, ওরে ওরে ও অভাগা কেউ কথা না কই। যদি সবাই থাকে মুখ ফিরাইয়া সবাই করে ভয়। যদি সবাই থাকে মুখ ফিরাইয়া সবাই করে ভয়। তবে পরাণ খুলে ও তুই মুখ ফুটি তোর মনের কথা একলা বলরে। যদি তোর ডাকশুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলরে। যদি তোর ডাকশুনে কেউ না আসে। 

যদি সবাই ফিরে যায়, ওরে ওরে ও অভাগা সবাই ফিরে যায়। যদি গহন পথে যাবার কালে, কেউ ফিরে না চাই। যদি গহন পথে যাবার কালে, কেউ ফিরে না চাই। তবে পথের কাটা, তবে পথের কাটা ও তুই রক্তমাখা চরণ তলে একলা ডলোরে। যদি তোর ডাকশুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলরে। যদি তোর ডাকশুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলরে।

যদি আলো না ধরে, ওরে, ওরে ও অভাগা আলো না ধরে। যদি ঝড়বাদলের আধার রাতে দোয়ার দেই ঘরে। যদি ঝড়বাদলের আধার রাতে দোয়ার দেই ঘরে। তবে বজ্রানলে আপন বুকের পাজর জ্বালিয়ে নিয়ে একলা জ্বল রে। 

যদি তোর ডাকশুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলরে। যদি তোর ডাকশুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলরে। একলা চলো, একলা চলো, একলা চলো একলা চলরে। একলা চলো, একলা চলো, একলা চলো একলা চলরে। যদি তোর ডাকশুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলরে। যদি তোর ডাকশুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলরে। যদি তোর ডাকশুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলরে।

লেখাঃ আবু রুবাইয়া। 
কথাঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। 
সাহায্যেঃ রবীন্দ্রসংগীত। 
প্রকাশ্যেঃ ইন্টারনেট। 
আমার হিয়ার মাঝে, লুকিয়ে ছিলে।
 দেখতে আমি পাইনি তোমায়, দেখতে আমি পাইনি।