সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৫

বাংলাদেশ হ্যাকিং গ্রুপ।

বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ হ্যাকিং এর দিক থেকে অন্যান্যদেশের তুলনায় একটি সম্মানজনক অবস্থানে রয়েছে। দেশের কিছু নতুন ও মেধাবী প্রজন্ম হাল ধরেছে বাংলাদেশের হ্যাকিং ওয়ার্ল্ডের। বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকার যখন নিশ্চুপ তখন এদেশের হ্যাকাররাই প্রতিবাদ জানায় প্রতিপক্ষ দেশ বা প্রতিপক্ষ গোষ্ঠীর প্রতি। তারা তাদের এই প্রযুক্তির অস্ত্র ব্যাবহার করে হ্যাক করে প্রতিপক্ষের ওয়েবসাইট।


বাংলাদেশের হ্যাকিং জগত মুলত গ্রুপ ভিত্তিক। নামকরা অনেক গ্রুপই আছে বাংলাদেশে। দেশের সাইবার স্পেস সুরক্ষায় তারা নিবেদিত প্রাণ। এবার জেনে নেওয়া যাক বাংলাদেশের কিছু প্রথম কাতারের কিছু হ্যাকার গ্রুপ সম্পর্কে-

  • বাংলাদেশ সাইবার আর্মি
  • এক্সপায়ার সাইবার আর্মি
  • বাংলাদেশ ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকারস
  • হেক্সরোসিস্ট
  • বাংলাদেশ গ্রে হ্যাট হ্যাকারস
  • সাইবার ৭১


বাংলাদেশ সাইবার আর্মিঃ বাংলাদেশের প্রথম সাইবার সিকিউরিটি প্রতিষ্ঠান এবং হ্যাকার গ্রুপ বাংলাদেশ সাইবার আর্মি যাত্রা শুরু করে ২০১০ এর ডিসেম্বরে। প্রাথমিক অবস্থায় কয়েকজন হ্যাকার মিলে ডিসেম্বরে আগে শুরু করে ওয়েবসাইট হ্যাকিং প্র্যাকটিস। আর ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে গড়ে তোলে বাংলাদেশ সাইবারআর্মি নামের হ্যাকার গ্রুপ। তাদের গ্রুপের ট্যাগ লাইন বা নীতিকথা হল-

United as a Single ONE, 
Divided by ZERO. 
Our work is for our country, 
Our fight is for humanity. 
We want Justice. 
We are, 
Bangladesh Cyber Army.

গ্রুপটি শুরু থেকেই তাদের নিত্যনতুন ডিফেসমেন্ট দিয়ে তাক লাগিয়ে দিচ্ছে দেশের মানুষদের। তারা ত্যাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে ফেইসবুক গ্রুপের মাধ্যমে। বাংলাদেশ-ভারত সাইবার যুদ্ধের সময় বেশিরভাগ সাইট হ্যাক করে এই গ্রুপের ক্রু মেম্বাররা। ভারতের অনেক সরকারী ও বেসরকারী ওয়েবসাইট হ্যাক করে ভারত সরকারের দৃষ্টি কাড়ে। 

অন্যান্য অনেক উদ্দেশ্যের পাশাপাশি মুলত বাংলাদেশ এবং ভারত সাইবার যুদ্ধের উদ্দেশ্য ছিল ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বাংলাদেশের নাগরিক হত্যা বন্ধ করা। সেসময়য় ভারতের প্রায় সহস্রাধিক ওয়েবসাইট হ্যাক করে সাইটের প্রধান পেইজে ঝুলিয়ে দেয় বিএসএফ এর গুলিতে নিহত কিশোরী ফেলানির ছবি। বাংলাদেশ সাইবার আর্মির আরও কয়েকটি বড় অর্জন হল, প্রতিষ্ঠাতা এডমিন সাদমান তানজিমের গুগল ল্যাব ডাটাবেস ইঞ্জেক্টিং ত্রুটি খুঁজে বের করা এবং বাংলাদেশ সাইবার আর্মির আরেকজন এডমিন নীল নিরব দ্বারা নাসার ওয়েবসাইট হ্যাক হওয়া। এছাড়াও বিশ্বের নামকরা কিছু হ্যাকিং কমিউনিটির ওয়েবসাইট হ্যাক করার কৃতিত্বও আছে তাদের ঝুলিতে



এক্সপায়ার সাইবার আর্মিঃ বাংলাদেশের সাইবার স্পেসে আরেকটি পরিচিত মুখ হল এক্সপায়ার সাইবার আর্মি। বাংলাদেশ-ভারত সাইবার যুদ্ধের আগমুহূর্তে ২০১১এর ডিসেম্বরে জন্মনেয়া এই গ্রুপটি বাংলাদেশ-ভারত সাইবার যুদ্ধে অন্যান্যদের মত বিপুল সংখ্যক ওয়েবসাইট হ্যাক করে। তাছাড়া তারা সাইবার যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া বেশকিছু বাংলাদেশী ওয়েবসাইট পূর্বের অবস্থায় ফিরেয়ে নিতে সহযোগিতা করে। গ্রুপটিতে রয়েছে বেশকিছু তরুন এবং মেধাবী মুখ কিন্তু বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের ওয়েবসাইট হ্যাক করার কারণে কিছুটা বিতর্কের মাঝে পড়ে যায় গ্রুপটি। এক্সপায়ার তাদের ট্যাগলাইন হিসেবে ব্যাবহার করে

 “We Never Give Up”

এক্সপায়ারের রয়েছে সুগঠিত কোডার ইউনিট যারা নিত্য নতুন টুল তৈরি ও মোডিফাই করে ব্যাবহার করে নিজেদের প্রয়োজনে। তাদের তৈরি করা ম্যাস ডিফেসমেন্ট টুল AK-47 বেস জনপ্রিয়। এবং তাদের রয়েছে ওয়েবসাইট মিরর তৈরি করার জন্য HACK-DB নামের একটি ওয়েবসাইট যেখানে বিশ্বের অনেক হ্যাকাররা কোন ওয়েবসাইট হ্যাক করার প্রমাণস্বরূপ মিরর তৈরি করে রাখেন।

এই গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা আহমেদ সাজিদ নামের একজন বাংলাদেশী হ্যাকার। তিনি পূর্বে বাংলাদেশ সাইবার আর্মিতে কাজ করেন এবং পরবর্তীতে নিজেই এক্সপায়ার নামের একটি হ্যাকিং গ্রুপ জন্ম দেন। তাছাড়াও এক্সপায়ারে রয়েছে বেশ কয়েকজন একটিভ ক্রু মেম্বার।



বাংলাদেশ ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকারসঃ বাংলাদেশের আরেকটি জনপ্রিয় গ্রুপ হল বাংলাদেশ ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকারস। বিভিন্য মিডিয়াতে পাওয়া তথ্যমতে বাংলাদেশ-ভারত সাইবার যুদ্ধের সুচনা হয়েছিল এই বাংলাদেশ ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকারস গ্রুপের হাত ধরে। বর্তমানে তাদের অবস্থা খুব একটা চোখে পড়ার মত না। তাদের নিজেদের মধ্যে অন্তকোন্দলের জন্যই তাদের অবস্থা আগের তুলনায় খারাপ হয়ে গেছে। অনেক পুরাতন মেম্বার পদত্যাগ করে নতুন টিমের সাথে যোগ দিয়েছেন। আবার অনেকে হ্যাকিং ছেড়ে ব্যাক্তিগত কাজে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছেন। তবে খুব শীঘ্রই এই অবস্থার উন্নতি ঘটবে বলে আশা করা যায়।



হেক্সরোসিস্টঃ অনেকটাই নতুন তৈরি হওয়া এই গ্রুপটি তাদের মেধা এবং আত্মবিশ্বাসের জোরে অনেক উপরে স্থান করে নিয়েছে। তাদের গ্রুপের সূচনা লগ্ন থেকে নিত্য নতুন ওয়েবসাইটএর ত্রুটি বের করা শুরু করে এই গ্রুপটি। বাংলাদেশী হ্যাকার ফোরস এক্স এর হাত ধরে জন্ম লাভ করে এই গ্রুপটি। কম দিনেই গ্রুপের একটিভ ক্রু মেম্বারদের অক্লান্ত পরিশ্রমে সম্মানজনক অবস্থানে চলে এসেছে এই গ্রুপটি। কিছুদিন আগে ভারতীও টিভি চ্যানেল জি-বাংলায় প্রচারিত কমেডি শো মিরাক্কেলে বাংলাদেশ নিয়ে কটুক্তি করা হয় এবং এর প্রতিবাদস্বরূপ জি নেটওয়ার্কের বেশ কিছু ওয়েবসাইট হ্যাক করে আলোচনায় আসে বাংলাদেশের এই হ্যাকার গ্রুপ।




বাংলাদেশ গ্রে হ্যাট হ্যাকারসঃ বাংলাদেশ গ্রে হ্যাট হ্যাকারস এর নাম আপনারা অনেকেই জানেন। দেশের সাইবার স্পেস রক্ষাকরাই তাদের লক্ষ। দেশের অন্যান্য গ্রুপের মধ্যে ভালো অবস্থানেই রয়েছে বাংলাদেশ গ্রে হ্যাট হ্যাকারস। ইতিমধ্যে বেশকিছু হ্যাক হওয়া বাংলাদেশী সাইট রিস্টর করে সুনাম কুড়িয়েছে। জানাগেছে বাংলাদেশ পুলিশের সাথেও তাদের কাজের কথা।



সাইবার৭১ : দেশের নতুন আরেকটি হ্যাকার গ্রুপ হল সাইবার৭১। তারা দাবি করে বাংলাদেশের সাইবার স্পেস সুরক্ষা করাই তাদের দায়িত্ব। দেশপ্রেম এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়েই জন্ম লাভ করে বাংলাদেশের এই গ্রুপটি। গ্রুপটি চালু হবার পর থেকেই গ্রুপের এডমিন এবং ক্রু মেম্বাররা নিত্য নতুন ডিফেসিং কৌশল দেখিয়ে অবাক করে দিচ্ছেন সবাইকে। বাংলাদেশের সাইবার জগতের পরিচিত মুখ সাইবার সিকিউরিটি প্রতিষ্ঠান এলুমিনিয়াম সিকিউরিটির প্রতিষ্ঠাতা আলমাস জামান এই গ্রুপের একজন এডমিন হিসেবে আছেন। দেশের জন্য ভালো কিছু দিবে এমনটাই আশাকরা যায় এই গ্রুপের কাছে।

Abu Rubaiya
Jessore, Khulna, Bangladesh.
STOP SMOKING, WE NEED YOU.

শুক্রবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৫

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি।

প্রিয় বন্ধুরা, 
আবু-রুবাইয়া.ব্লগস্পট.কম বর্তমানে মাধ্যমিক জনপ্রিয়তা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। তাকে আরো জনপ্রিয় করতে আমার কিছু সংখ্যক নতুন মেধাবী লেখক খুঁজিতেছি। (ইন্টারনেট বিল এবং লেখা সন্মানী ব্লগের কর্তৃপক্ষ বহন করবেন) 

আমরা এমন মানুষ খুঁজছি যারা শুধু সংবাদ পরিবেশনই নয়, যেকোন গল্প, কবিতা, উপন্যাস, ব্যক্তিত্ব, পরিচিতি, পরিবেশ, প্রকৃতি,  ঐতিয্য, সংস্কৃতি, ভাষা, প্রতিষ্ঠান, শিক্ষালয়, দর্শনীয় স্থান, ইতিহাস, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, চিকিৎসা, দুর্নীতি, রাজনীতি, খেলাধূলা, বিনোদন, চলচিত্রসহ যেকোন সত্য তথ্য পৌঁছে দিতে পারবে বিশ্বের প্রতিটি মানুষের কাছে খুবি সহজে।


যোগ্যতাঃ
ক). বাংলায় অবশ্যই ভালো লিখতে পারতে হবে।
খ). প্রার্থীকে সর্বনিম্ন এস.এস.সি. বা সমমান শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে। 
গ). সদ্য পাশ করা ছাত্রছাত্রীরাও যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
ঘ). লেখা সম্পর্কে যথেষ্ঠ আগ্রহ থাকতে হবে।
ঙ). যাদের বয়সে ৩০-এর নীচে তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।


মানবিকগুণাবলীঃ
ক). প্রার্থীকে অবশ্যই একজন ভালো মানুষ হতে হবে।
খ). প্রার্থীকে উদার, সহনশীল, ভদ্র, বিনয়ী এবং অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।
গ). নারীর প্রতি মর্যদাশীল হতে হবে। কোনও রকম অবমাননা বা হেয় করে কথা বলা যাবে না।
ঘ). মানুষের প্রতি কটাক্ষ বা নোংরা অপপ্রচারে কোনওভাবেই যুক্ত থাকা যাবে না।
ঙ). কাজের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে।

জরুরী তথ্যঃ
ক). এস.এস.সি এর রোল এবং পাশের সাল।
খ). জাতীয় পরিচয় পত্র, পাসপোর্ট, বা ড্রাইভিং লাইসেন্স নাম্বার।
গ). এক কপি রঙিন ছবি 300×300 পিক্সেল।
ঘ). মোবাইল নাম্বার। 
ঙ). ইমেইল নাম্বার। 

সন্মানী ও ইন্টারনেট বিলঃ
ক). প্রতিটি লেখা প্রকাশের জন্য ৫ মেগাবাইট ডাটার মূল্য কর্তৃপক্ষ বহন করিবে।
খ). প্রতিটি লেখা জন্য কর্তৃপক্ষ আলোচনা সাপেক্ষ সন্মানী bKash এর মাধ্যমে প্রদান করিবে। 


যোগাযোগ করুনঃ
www.facebook.com/abu.rubaiya
www.twitter.com/abu_rubaiya
www.plus.google.com/+AbuRubaiy

Emails, 
www.abu.rubaiya15@gmail.com
www.abu.rubaiya15@yahoo.com
www.abu.rubaiya15@hotmail.com



বিঃদ্রঃ আবু-রুবাইয়া.ব্লগস্পট.কম শুধুমাত্র একটি কাজ করার জায়গা নয়। আমরা কিছু ভ্যালু নিয়ে দাড়াতে চাই। এবং আমরা চাই, আমাদের টিমে যারা কাজ করবেন, তারাও সেই ভ্যালুগুলো ধারণ করবেন। নতুন কিছু শেখার ব্যাপারে যাদের আগ্রহ রয়েছে, তাদের জন্য এটি খুবই উপযুক্ত। চ্যালেঞ্জ নিতে ভালোবাসেন এমন মানুষদেরকে আমরাও ভালোবাসি!
প্রকাশ্যেঃ
কর্তৃপক্ষ,আবু-রুবাইয়া.ব্লগস্পট.কম

মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৫

সোনা বউ শুনছোনি গো? সোনা বউ শুনছো নি, নিতে আইলে নায়র যাইবা নি?

সোনা বউ শুনছোনি গো? সোনা বউ শুনছো নি, নিতে আইলে নায়র যাইবা নি? সোনা বউ শুনছোনি গো? সোনা বউ শুনছো নি, নিতে আইলে নায়র যাইবা নি? 

ও বউ গো বউ। সাড়ে তিনহাত মাটির ঘরে বাসরটা দিবে সাজিয়ে যে ঘরে থাকবা দিন রজনী । ও বউ গো বউ। সাড়ে তিনহাত মাটির ঘরে বাসরটা দিবে সাজিয়ে যে ঘরে থাকবা দিন রজনী ।

নাই বিছানা নাই মশারী সঙ্গে নাই তর সোয়ামি নিতে আইলে নায়র যাইবানি?

ও বউ গো বউ।  ছেড়ে গেলে আত্বা জামাই, মাটির দেহের কিসের বড়াই, ফাকাঁ দেহের বিচার করবে কে? ও বউ গো বউ। ছেড়ে গেলে আত্বা জামাই, মাটির দেহের কিসের বড়াই, ফাকাঁ দেহের বিচার করবে কে?

আত্বার সাথে তোর পিরিতি দেওয়ানে কয় ও সজনী নিতে আইলে নায়র যাইবানি? 

সোনা বউ শুনছোনি গো? সোনা বউ শুনছো নি, নিতে আইলে নায়র যাইবা নি । সোনা বউ শুনছোনি গো? সোনা বউ শুনছো নি, নিতে আইলে নায়র যাইবা নি । 

সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৫

জীবনযুদ্ধে হারনামানা একজন বিরঙ্গনার নাম মরিয়ম খাতুন।

অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে অনার্সে ফাস্ট ক্লাস পেয়েছে নওয়াপাড়ার মরিয়ম। নেই মাথা গোজার ঠাঁই, ভিক্ষুক মা আর বৃদ্ধ বাবাকে নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন মরিয়ম খাতুনের। মরিয়ম খাতুন জীবনযুদ্ধে হারনামানা একজন বিরঙ্গনার নাম। চরম অভাবের যন্ত্রনা-ক্ষুধা দারিদ্রতার চুড়ান্ত সীমা পার করে ধিরে ধিরে এগিয়ে চলেছে সে। জন্মের পর থেকে শয্যাশায়ী বৃদ্ধ পিতা আর মস্তিষ্ক বিকৃত ভিক্ষুক মায়ের জীবন যন্ত্রনাকে সঙ্গি করে খেয়ে না খেয়ে বেড়ে উঠেছে নওয়াপাড়ার পাঁচকবর এলাকার সবার প্রিয় মরিয়ম খাতুন। মাথা গোজার ঠাঁই নেই মরিয়মদের। অন্যের জমিতে কোনরকম একটি কুড়ে ঘরে ভিক্ষুক মায়ের অন্যের বাড়ি থেকে চেয়ে আনা উচ্ছিষ্ট খাবার আর ছেড়া বাদ দেয়া কাপড় পরে জীবন সংগ্রামে এগিয়ে চলা সৈনিক মরিয়ম চরম মানবেতর জীবন যাপন করছে। এবার বিএল কলেজ থেকে অনার্সে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে ফাস্ট ক্লাস পেয়ে গোটা নওয়াপাড়াবাসীসহ তার কলেজের শিক্ষক ও সহপাঠীদেরকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। তার এ সাফল্যের খবরে দৈনিক নওয়াপাড়ার পক্ষ থেকে এ প্রতিবেদক গতকাল দুপুরে তার বাড়িতে উপস্থিত হয়। বাড়িতে যেয়ে দেখা যায় ভাঙ্গা ঘরের এক কোনে জোহরের নামাজ আদায় করছে মরিয়ম। বসতে দেয়ার জায়গা নেই ওদের। লাঠি ভর দিয়ে বেরিয়ে আসলেন মরিয়মের বৃদ্ধ বাবা শামছুর শেখ। মেয়ের খোঁজ নিতে আসার খবরে কেঁদে ফেললেন তিনি। বললেন, আমি যে কোন সময় মরে যাবো। আমার মেয়েকে কোথায় রেখে যাবো বাবা। কাঁপতে কাঁপতে মাটিতেই বসে পড়লেন বৃদ্ধ। নামাজ শেষ করে ঘর থেকে বেরিয়ে আসলো মরিয়ম। চোখে পানি টলমল করছে। হয়তো নামাজ শেষে শ্রষ্টার কাছে অসহায় মা-বাবার জন্য ফরিয়াদ করছিলো সে। ছালাম বিনিময় করে বসতে দিতে না পারার লজ্জায় কুকড়ে যাচ্ছিল সে। ভালো রেজাল্টের উচ্ছাস এক মিনিটেই মিইয়ে গেলো মরিয়মের। পাশে দাড়ানো মা-বাবাকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লো মরিয়ম। “আমার মা-বাবা একটু শান্তিতে ঘুমাতে পারেনা। তিনবেলা ঠিকমত খাবার জুটাতে পারিনা। রোগের যন্ত্রনায় সারারাত নির্ঘুম কেটে যায় তাদের। আর সেই যন্ত্রনা আমার সকল সাফল্যকে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়। আমি কি করবো তা ভাবতেও পারিনা। স্থানীয়দের সহায়তায় এ পর্যন্ত এসেছি।” কাঁদতে কাঁদতে বলে চললো মরিয়ম, “প্রায়ই পত্রিকার খবরে পড়ি আমাদের ডিসি সাহেব অসহায় শিক্ষার্থীদের পাশে দাড়ান। তাদের লেখাপড়ার খরচের ভার বহন করেন। তিনি যদি আমার জন্য একটু মাথা গোজার ঠাই করে দিতেন। সামান্য এক খন্ড জমি আর একটি কুড়ে ঘর ব্যবস্থা করতেন।
 যে ঘরে আমার মা- বাবা নিরাপদে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে পারতেন। মৃত্যুর আগে তারা অন্তত এটুকু শান্তনা নিয়ে যেতেন যে তাদের একমাত্র মেয়ের জন্য একটু মাথা গোজার ঠাঁই হয়েছে। এছাড়া আমার আর কিছু চাওয়ার নেই। আর কোন স্বপ্ন নেই।” ঢুকরে কেঁদে উঠলো মরিয়াম। আর কোন কথা বলতে পারলোনা। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাগেছে, ওই এলাকার কাইয়ুম আলীর জমিতে ছোট্ট একটি কুঁড়ে ঘরে মা-বাবাকে নিয়ে বসবাস করে মরিয়াম। জন্মের পর থেকে অসহায় মস্তিষ্ক বিকৃত মায়ের ভিক্ষা ও অন্যের বাড়ি থেকে চেয়ে আনা খাবারে বড় হয়েছে মরিয়ম। নওয়াপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া শুরু করে স্থানীয়দের সহায়তায় ও মায়ের সারাদিনের ভিক্ষার টাকায় ২০০৭ সালে বাণিজ্য বিভাগ থেকে জিপিএ ৪.০০ পেয়ে এসএসসি পাশ করে মরিয়ম। এবং ২০০৯ সালে নওয়াপাড়া মডেল কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে জিপিএ ৪.১০ পেয়ে এইচ এসসি পাশ করে সে। ছোট বেলা থেকেই লেখাপড়ার পাশাপাশি এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে মরিয়ম। এসএসসি পাশ করার পর এলাকার ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের সামান্য পারিশ্রমিকে পড়াতে শুরু করে, পাশাপাশি চলে ঝিয়ের কাজ। এখনও ঝিয়ের কাজ করতে হয় তাকে। সেই সাথে কয়েকটি টিউশনি করে কোন মতে চলে তার লেখাপড়া। স্মৃতিভ্রষ্ট মাকে আর ভিক্ষা করতে যেতে দিতে চায়না মরিয়ম। না জানি কবে রাস্তা ভূলে হারিয়ে যায় তার জনম দুঃখিনী মা এই আশংকায় দিন কাটে মরিয়মের। এই সমাজের কাছে, দেশের সরকার প্রধানের কাছে এবং বিশেষ করে যশোরের জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীরের কাছে তার ছোট্ট একটি চাওয়া। কোন রকম একটি চাকরী আর একটু মাথা গোজার ঠাঁই। তাহলেই পরম তৃপ্তিতে মা-বাবার কোলে মাথা রেখে একটু শান্তিতে ঘুমাতে পারবে মরিয়ম।

মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৫

বাজারে আসছে ৫ জি (5G) বা, পঞ্চম প্রজন্ম।


থ্রিজি, ৪জির পর এখন চলছে ৫জি নিয়ে ব্যাপক গবেষণা। মাত্র পাঁচ বছর আগে ৪জি নেটওয়ার্ক উপযোগী স্মার্টফোন বাজারে বিক্রি শুরু হয়। কিন্তু এখনই ওয়্যারলেস শিল্পে ৫জি নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে। মোবাইল ফোন অপারেটর, স্মার্টফোন চিপ নির্মাতা, নেটওয়ার্ক যন্ত্রপাতি নির্মাতাপ্রতিষ্ঠানগুলো ৫ জি বা পঞ্চম প্রজন্মের নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি উন্নয়নে কাজ শুরু করেছে। সিএনএন সম্প্রতি ৫জি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। 

সিএনএনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, স্মার্টফোনের পর্দায় নেটওয়ার্ক সংকেতের চিহ্ন হিসেবে ৫জি দেখার আগ ওয়্যারলেস শিল্পকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বাধা পেরোতে এবং ৫জির বিষয়টি পরিষ্কার হতে হবে। এখন পর্যন্ত ৫জি কেমন হবে, এর অর্থ কী হবে, কখন সহজলভ্য হবে—এ বিষয়গুলো পরিষ্কারভাবে নির্ধারণ করা হয়নি। কিন্তু মোবাইল ফোন ব্যবহার করে মানুষের ভিডিও দেখার হার বাড়তে থাকায় ৫জির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন এ শিল্পসংশ্লিষ্ট গবেষকেরা। টেলিকম প্রকৌশলীরা ৫জি নিয়ে অধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ শুরু করায় ৫জির বিষয়টি ধীরে ধীরে সামনে চলে আসছে। 

৫জি কী?
ইংরেজিতে টুজি, থ্রিজি, ৪জি বা ৫জিতে ব্যবহৃত ‘জি’ অর্থ জেনারেশন বা প্রজন্ম। ৫জি হচ্ছে পঞ্চম প্রজন্মের ওয়্যারলেস বা তারহীন নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি। অবশ্য এর মান এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের মোবাইল অপারেটর এটিঅ্যান্ডটি নেটওয়ার্ক অপারেশনসের প্রেসিডেন্ট বিল স্মিথ বলেন, ২০১৮ সাল নাগাদ ৫জির সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হতে পারে। ২০১৯ সালে ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) ৫জির মান নির্ধারণ করবে। কোন প্রযুক্তিকে ৫জি বলা যাবে বা কোন বৈশিষ্ট্য থাকবে বা এর গতি কেমন হবে—এই মান তা ঠিক করবে। তবে প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা এখনই ৫জি সম্পর্কে কিছুটা ধারণা করতে পারেন। তাঁদের মতে, শক্তি সাশ্রয়ী, দ্রুতগতির ও স্মার্ট হবে ৫জি। এতে নতুন তারহীন প্রযুক্তির পণ্য বাজারে পাওয়া যাবে। এতে আরও দ্রুতগতির স্মার্টফোন, স্মার্ট বাড়িতে ব্যবহৃত পণ্য ও দীর্ঘস্থায়ী প্রযুক্তিপণ্য তৈরি করা যাবে। 

৫জির গতি কেমন হবে?
৪জির চেয়ে ৪০ গুণ দ্রুতগতির হবে ৫জি, যাতে থ্রিডি মুভি ৬ সেকেন্ডেই ডাউনলোড করা যাবে। ৪জিতে একটি থ্রিডি মুভি ডাউনলোড করতে ৬ মিনিট সময় লাগে। তবে পরীক্ষাগারের ফল আর বাস্তবের ফলের মধ্যে পার্থক্য থাকে। পরীক্ষাগারে ভালো ফল পাওয়া গেলেও বাস্তবে গতি অনেক কম পাওয়া যায়। বর্তমানে ৫জি নিয়ে কাজ করছে ফিনল্যান্ডের নেটওয়ার্ক যন্ত্রপাতি নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান নকিয়া। নকিয়ার কর্মকর্তাদের মতে, ৫জি প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাস্তবে প্রতি সেকেন্ডে ১০০ মেগাবিট পর্যন্ত গতি পাওয়া যেতে পারে, যা ৪জির সর্বোচ্চ গতির চেয়ে চার গুণ দ্রুত। ৫জির আরেকটি বৈশিষ্ট্য হবে কম সময়ে নির্দেশ গ্রহণ করে নেটওয়ার্কে তা সম্পাদন করা। এতে দ্রুত ওয়েবসাইট, অ্যাপ, ভিডিও, বার্তা লোড ও আদান-প্রদান করা যাবে। 

৫জি কীভাবে কাজ করবে?
বেশ কিছু নেটওয়ার্ক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ৫জি নিয়ে কাজ শুরু করেছে। প্রতিষ্ঠানগুলো ৭৩ হাজার মেগাহার্টজের মতো তরঙ্গ নিয়ে ৫জির পরীক্ষা চালাচ্ছে। বর্তমানে মোবাইল অপারেটরদের তরঙ্গদৈর্ঘ্য সর্বোচ্চ ৭০০ মেগাহার্টজ থেকে ৩ হাজার ৫০০ মেগাহার্টজে সীমাবদ্ধ। উচ্চ তরঙ্গদৈর্ঘ্যের সংকেতের সুবিধা হচ্ছে এতে দ্রুতগতিতে তথ্য স্থানান্তর করা যায়। এর অসুবিধা হচ্ছে, এটি বেশি দৈর্ঘ্য অতিক্রম করতে পারে না ও দেয়ালের মতো বাধা পেরোতে পারে না। এ জন্য লাখো মিনি টাওয়ার বসানো দরকার হবে। 

কবে আসবে ৫জি?
৫জি নিয়ে এখনো অনেক প্রশ্নের উত্তর বাকি। তাই শিগগিরই ৫জি আসছে না। গবেষকেরা ২০১৮ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় উইন্টার অলিম্পিকসের সময় ৫জি নিয়ে পরীক্ষা চালাবেন। ২০২০ সাল থেকে এটি বাণিজ্যিকভাবে যাত্রা শুরু করতে পারে। অবশ্য, যুক্তরাষ্ট্রের মোবাইল অপারেটর ভেরিজন বলছে, ২০১৭ সালের মধ্যেই তারা ৫জি আনতে পারবে। তবে ৫জি আসার আগে এ-সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় পরিষ্কার করতে হবে। পাশাপাশি স্মার্টফোন নির্মাতাদের সাশ্রয়ী খরচে ৫জি সংকেত গ্রহণ ও পাঠানোর উপযোগী চিপ তৈরি করতে হবে।

শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৫

জীবন যুদ্ধ।


প্রতিদিনের কষ্ট তিল তিল করে ক্ষয় করে দেয় তোমার উদ্যম। জীবন যুদ্ধে লড়তে লড়তে ক্লান্ত তুমি। গেয়ে ওঠো "আর পারি না আর পারি না..." দুর্দিনে অসহায় চোখে তাকিয়ে দেখো সবার দূরে সরে যাওয়া! 
গভীর রাতে বালিশ ভিজিয়ে ভাবতে থাকো আত্নহত্যার ১০১ টি উপায়? না, আমি তোমাকে উপদেশ দেবো না-জীবন মানে প্রতিদিন নতুন উদ্যোমে যুদ্ধ শুরু করা। 

আমি তোমাকে মনে করিয়ে দিতে চাই না, মাতৃগর্ভে কয়েক কোটি শুক্রাণুর মরণপণ যুদ্ধে বিজয়ী বীর তুমি। আমি তোমার কানের কাছে গেয়ে উঠবো না নচিকেতার সেই অমর গান "একলা মানুষ মাতৃগর্ভে, একলা মানুষ চিতায়" আমি তোমার মুখে চড় মেরে বলব না, মরার আগে মরিস নারে পাগলা। 

আমি তোমাকে নিয়ে হাটতে চাই নতুন দিনের মিছিলে। গলায় গলা মিলিয়ে স্লোগান তুলতে চাই, এ লড়াই বাচার লড়াই, এ লড়াই জিততে হবে।  এ লড়াই স্বপ্ন জয়ের, এ লড়াই জিততে হবে। আমি তোমাকে নিয়ে বিশুদ্ধ কষ্টের তীব্র আগুনে পুড়তে চাই, আমরা আবার নতুন করে জন্ম নেব সেই ছাই থেকে। (রুপকথার ফিনিক্স পাখির মত) 

আমি তোমাকে নিয়ে এক পা সামনে এগোতে চাই, তার পর আরেক পা। এক পা এক পা করে পাড়ি দিতে চাই এই অনন্ত পথ। বলো আমার সাথে যাবে তো?

Your enthusiasm is facing the loss of trouble that day. You have to fight the battle of life, tired of fighting. Get up singing "I can not ... I can not" looked on helpless people away from adversity! 

Come to think of ways to soak the pillow at night 101 suicide? No, I will not advise you mean-life fighting skills, start a new day. 

I do not want to remind you, you are the heroes of the war of the womb a few million sperm deadly. I'm not supposed to get your ears sang the immortal song Nachiketa "lonely man in the womb, lonely man on the pyre," I can not tell you a slap in the face, Morris .Give mad before dying. 

I want to walk with the procession of the day. Neck and neck to make the slogan, fight the fight lounger, will win the fight. The dream of winning this fight, will win the fight. 

I would like the pure suffering severe burning, we'll born again from the ashes. (Fairy Phoenix bird) I would like to go in front of the leg, then another leg. Want to go step by step in this way to infinity. Say it with me?